কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ - ২০২৫ সালের সম্পূর্ণ গাইডলাইন

২০২৫ সালে কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ কত, কিভাবে ফি পরিশোধ করবেন ও কোন ভিসায় কত খরচ হয় - সব বিস্তারিত জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ গাইড।
কানাডা-ভিসা-ফি-ফ্র-বাংলাদেশ

উন্নত জীবন, মানসম্মত শিক্ষা ও নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য কানাডা এখন সবার প্রথম পছন্দ। প্রতিবছর অসংখ্য বাংলাদেশি কানাডা ভ্রমণ, পড়াশোনা বা স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করেন। তবে এর জন্য জানতে হয় সঠিক ভিসা প্রক্রিয়া ও ফি। এই লেখায় থাকছে ২০২৫ সালের হালনাগাদ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ এর বিস্তারিত তথ্য।

সূচিপত্রঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ - ২০২৫ সালের সম্পূর্ণ গাইডলাইন

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ

বর্তমানে কানাডা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য। উন্নত জীবনযাত্রা, বিশ্বমানের শিক্ষা এবং নিরাপদ ভবিষ্যতের আশায় প্রতিবছর হাজারো বাংলাদেশি কানাডা যেতে আগ্রহী হন। তবে এই স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপই হলো - ভিসা আবেদন ও প্রাসঙ্গিক ফি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা।

“কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ” বলতে সাধারণত বোঝানো হয়, কানাডার বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী একজন বাংলাদেশি নাগরিককে কত টাকা ফি দিতে হয়। এই ফি নির্ভর করে আপনি কোন ভিসার জন্য আবেদন করছেন - যেমনঃ স্টুডেন্ট, ট্যুরিস্ট, ওয়ার্ক পারমিট বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্স। পাশাপাশি অনেক সময় বায়োমেট্রিক ফি, মেডিকেল পরীক্ষা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও অন্যান্য সার্ভিস চার্জও প্রযোজ্য হয়।

২০২৫ সালের আপডেট অনুযায়ী, কিছু ভিসার ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আবেদন করার আগে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। অনলাইনে IRCC-এর অফিসিয়াল সাইট কিংবা ঢাকায় অবস্থিত VFS Global এর মাধ্যমে এই ফি জমা দেওয়া যায়। সঠিক তথ্য জানা থাকলে ও প্রক্রিয়াটি বুঝে করলে কানাডা যাওয়ার পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ থেকে কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসার খরচ কত?

২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে কানাডা ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে হলে ভিসা ফি ও কিছু অতিরিক্ত খরচ সহ মোট ব্যয়ের একটি ধারণা নিচে দেওয়া হলোঃ
খরচের ধরন ফি (CAD) আনুমানিক টাকায় (BDT)
ভিসা ফি ১০০ প্রায় ৮,৫০০+ টাকা
বায়োমেট্রিক ফি ৮৫ প্রায় ৮,৫০০+ টাকা
VFS সার্ভিস চার্জ ৩৮ - ৪৫ প্রায় ৩,২৫০–৩,৮৫০ টাকা
মোট আনুমানিক খরচ ২২০ - ২৩০ প্রায় ১৮,০০০–২০,০০০ টাকা
বিঃদ্রঃ টাকায় রূপান্তরের হার (CAD to BDT) প্রতিদিন পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আবেদন করার আগে এক্সচেঞ্জ রেট দেখে নিন।

অতিরিক্ত খরচ যা প্রযোজ্য হতে পারে

  • মেডিকেল টেস্ট (প্রয়োজনে)
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • ট্রান্সলেশন বা নোটারি খরচ
  • ফটোকপি, ছবি ও ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা ফি বাংলাদেশ ২০২৫ সালে কত?

২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পড়াশোনার উদ্দেশ্যে আবেদন করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর একটি হলো স্টুডেন্ট ভিসা ফি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখা। বর্তমানে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন ফি নির্ধারিত রয়েছে CAD 150, যা বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ১২,৫০০ থেকে ১৩,০০০ টাকা (মুদ্রা বিনিময় হার অনুযায়ী)।
কানাডা-ভিসা-ফি-ফ্রম-বাংলাদেশ

এর পাশাপাশি প্রতিটি আবেদনকারীর জন্য বায়োমেট্রিক ফি দিতে হয়, যার পরিমাণ CAD 85, অর্থাৎ প্রায় ৭,০০০ টাকা। ফলে শুধুমাত্র আবেদন ফি ও বায়োমেট্রিক ফি মিলিয়ে মোট খরচ দাঁড়ায় CAD 235, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯,৫০০ থেকে ২০,৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

তবে এই খরচ এখানেই শেষ নয়। অনেক ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের জন্য মেডিকেল পরীক্ষা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, এবং ডকুমেন্ট ট্রান্সলেশন এর মতো অতিরিক্ত খরচও যুক্ত হয়। এসব সেবার খরচ ভিন্ন হতে পারে, তবে গড়পড়তা হিসেবে আরও ১০,০০০-২০,০০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত খরচ ধরা যেতে পারে।

কানাডা সরকার প্রতিনিয়ত অভিবাসন নীতিতে আপডেট আনে, তাই আবেদনকারীদের উচিত সর্বশেষ তথ্য IRCC-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা VFS Global-এর মাধ্যমে যাচাই করে নেওয়া। সঠিক তথ্য ও প্রস্তুতি থাকলে কানাডায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণ মোটেও কঠিন কিছু নয়।

কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ফি বাংলাদেশ থেকে কত লাগে?

যারা কানাডায় চাকরি করতে চান বা ওয়ার্ক পারমিটের মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে কাজ করতে চান, তাদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ফি সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরি। ২০২৫ সালের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন ফি হলো CAD 155, যা বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ১৩,০০০ থেকে ১৩,৫০০ টাকা (কারেন্ট এক্সচেঞ্জ রেট অনুযায়ী)।

এর পাশাপাশি, প্রতিটি আবেদনকারীর জন্য বায়োমেট্রিক ফি দিতে হয় CAD 85, যা প্রায় ৭,০০০ টাকা সমান। অর্থাৎ, শুধুমাত্র আবেদন ফি ও বায়োমেট্রিক ফি মিলিয়ে মোট খরচ দাঁড়ায় CAD 240, অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় আনুমানিক ২০,০০০ টাকা।

তবে যদি আবেদনকারী ওপেন ওয়ার্ক পারমিট নিতে চান (যেখানে নির্দিষ্ট কোনো চাকরিদাতা উল্লেখ করা লাগে না), তাহলে অতিরিক্ত CAD 100 দিতে হয় - যা আরও প্রায় ৮,৫০০ টাকা যোগ হয়। সেই ক্ষেত্রে মোট ফি দাঁড়াতে পারে প্রায় ২৮,৫০০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়াও, অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ যেমন মেডিকেল পরীক্ষা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, ট্রান্সলেশন ইত্যাদির জন্য আরও ১০-২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

বাংলাদেশ থেকে কানাডা ভিসা ফি কিভাবে পরিশোধ করবেন?

  • IRCC অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
  • আপনার ভিসার ধরন অনুযায়ী অনলাইন ফর্ম পূরণ করুন।
  • অনলাইনে ফি পরিশোধের জন্য ভিসা কার্ড, মাস্টারকার্ড বা অন্য আন্তর্জাতিক ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করুন।
  • সফলভাবে পেমেন্ট শেষ হলে একটি রসিদ পাবেন, সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে রাখুন।
  • VFS Global-এর মাধ্যমে আবেদন করলে - ফি VFS অফিসে সরাসরি গিয়ে নগদ/কার্ডে পরিশোধ করা যায় (বায়োমেট্রিক ও সার্ভিস চার্জ সহ)।

কানাডা ভিসা আবেদন করার নিয়ম বাংলাদেশে কীভাবে কাজ করে?

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি কানাডায় যেতে চান, তাহলে আপনাকে প্রথমে জানতে হবে আপনি কোন উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন - ভ্রমণ, পড়াশোনা না চাকরির জন্য।

এরপর আপনাকে কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর সেখানে একটি নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে, আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট (যেমন পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ছবি ইত্যাদি) স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে এবং অনলাইনে ভিসা ফি দিতে হবে।

সব ঠিকঠাক হলে আপনাকে ঢাকার VFS সেন্টারে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি দিতে হবে (এটাকে বলে বায়োমেট্রিকস)। এরপর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ভিসা অ্যাপ্রুভ হলে আপনাকে পাসপোর্ট জমা দিতে বলা হবে এবং শেষে পাসপোর্টে ভিসা লাগিয়ে ফেরত দেওয়া হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হয়, আর এতে সময় লাগে সাধারণত ৩-৮ সপ্তাহ।

সংক্ষেপে

  • কোন ভিসা লাগবে সেটা ঠিক করুন
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করুন
  • অনলাইনে ফর্ম পূরণ ও ফি পরিশোধ
  • ঢাকায় গিয়ে বায়োমেট্রিক দিন
  • অপেক্ষা করুন ও পাসপোর্টে ভিসা নিন

বাংলাদেশ থেকে কানাডা PR ফি কত লাগবে ২০২৫ সালে?

২০২৫ সালে বাংলাদেশ থেকে কানাডায় স্থায়ী বসবাস (Permanent Residency বা PR) ভিসার জন্য আবেদন করলে মূল ফি প্রায় ১৫২৫ কানাডিয়ান ডলার হবে। এর মধ্যে রয়েছে প্রসেসিং ফি ৯৫০ ডলার এবং রাইট অব পার্মানেন্ট রেসিডেন্স (RPRF) ফি ৫৭৫ ডলার।
কানাডা-ভিসা-ফি-ফ্রম-বাংলাদেশ

এর পাশাপাশি, প্রত্যেক আবেদনকারীর জন্য বায়োমেট্রিক ফি দিতে হয়, যা সাধারণত ৮৫ ডলার, আর পরিবারের জন্য সর্বোচ্চ হতে পারে ১৭০ ডলার। তবে এসব খরচের বাইরে IELTS পরীক্ষা, মেডিকেল, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং অন্যান্য কাগজপত্রের জন্য আলাদা ব্যয় হয়। তাই পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে একটি ভালো বাজেট নিয়ে এগোনোই ভালো হবে।

২০২৫ সালের কানাডা ভিসার নতুন আপডেট বাংলাদেশিদের জন্য

২০২৫ সালে কানাডা ভিসার নিয়মে কিছু নতুন পরিবর্তন এসেছে - স্টুডেন্টদের জন্য এখন PAL/TAL জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তাছাড়া ভিসা ফি ও প্রসেসিং সময়েও কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেছে, তাই আগে থেকেই জানাটা খুব দরকার। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

কানাডা ভিসার ফি ২০২৫

  • ভিজিটর ভিসাঃ প্রতি ব্যক্তির জন্য ১০০ কানাডিয়ান ডলার
  • স্টুডেন্ট পারমিটঃ প্রতি ব্যক্তির জন্য ১৫০ কানাডিয়ান ডলার
  • ওয়ার্ক পারমিটঃ প্রতি ব্যক্তির জন্য ১৫৫ কানাডিয়ান ডলার
  • বায়োমেট্রিক ফিঃ প্রতি ব্যক্তির জন্য ৮৫ ডলার, পরিবারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৭০ ডলার

প্রসেসিং সময়

  • ভিজিটর ভিসাঃ প্রায় ৩ থেকে ৮ সপ্তাহ
  • স্টুডেন্ট পারমিটঃ প্রায় ১১ সপ্তাহ
  • ওয়ার্ক পারমিটঃ প্রায় ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ

স্টুডেন্ট ভিসায় নতুন নিয়ম

  • ২০২৫ সালে মোট ৪৩৭,০০০ স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়া হবে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় ১০% কম।
  • মাস্টার্স ও ডক্টরাল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোভিনশিয়াল বা টেরিটোরিয়াল অ্যাটেস্টেশন লেটার (PAL/TAL) জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
  • KG থেকে গ্রেড ১২ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই PAL/TAL থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

স্থায়ী বসবাস (PR) সংক্রান্ত আপডেট

  • ২০২৫ সালে কানাডা প্রায় ৩৯৫,০০০ নতুন স্থায়ী বাসিন্দা গ্রহণ করবে।
  • PR আবেদনের জন্য প্রসেসিং ফি ৯৫০ কানাডিয়ান ডলার এবং রাইট অব পার্মানেন্ট রেসিডেন্স ফি (RPRF) ৫৭৫ ডলার দিতে হয়।
  • পরিবারের স্পন্সরশিপ ফি প্রায় ১,২০৫ কানাডিয়ান ডলার।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস

  • আবেদন করার সময় সব তথ্য সঠিক ও পরিষ্কারভাবে দিন।
  • ডকুমেন্টগুলো ইংরেজিতে এবং স্পষ্ট স্ক্যান করা থাকা উচিত।
  • সময়মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে আবেদন করা সর্বোত্তম।

বাংলাদেশ থেকে কানাডা ইমিগ্রেশন খরচ ২০২৫ - পুরো গাইডলাইন

১) IELTS (ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ)
কানাডা PR-এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর একটি হলো IELTS (General Training) পরীক্ষা। এটি আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন। বাংলাদেশে আপনি IDP বা British Council-এর মাধ্যমে এই পরীক্ষা দিতে পারবেন। খরচ প্রায় ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা।

২) ECA (শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল্যায়ন)
আপনার ডিগ্রি কানাডার সমমানের কিনা তা যাচাই করার জন্য Educational Credential Assessment (ECA) করতে হয়। WES, ICAS, CES ইত্যাদি সংস্থার মাধ্যমে এটি করা যায়। খরচ প্রায় ১৪,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা।

৩) Express Entry প্রোফাইল তৈরি
Express Entry অনলাইনে একটি প্রোফাইল তৈরি করে আবেদন করতে হয়। এটি নিজে করলেও খরচ নেই, তবে অনেকেই কনসালট্যান্টের সাহায্য নেন। খরচ (ঐচ্ছিক) ১০,০০০-২০,০০০ টাকা

৪)কানাডা PR আবেদন ফি (IRCC)
স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য আবেদন করলে প্রসেসিং ফি ও RPRF (Right of Permanent Residence Fee) দিতে হয়।
  • প্রসেসিং ফিঃ ৯৫০ CAD
  • RPRF ফিঃ ৫৭৫ CAD
  • মোটঃ ১৫২৫ CAD যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১,৫৫,০০০ টাকা (প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য)
৫) বায়োমেট্রিক ফি
আবেদনের অংশ হিসেবে আপনাকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি দিতে হয়। এটি ঢাকার VFS সেন্টারে জমা দিতে হয়।
  • একজনের জন্যঃ ৮৫ CAD = ৮,০০০ টাকা
  • পরিবারের জন্যঃ সর্বোচ্চ ১৭০ CAD = ১৬,০০০ টাকা
৬) পুলিশ ক্লিয়ারেন্স (PCC)
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নিতে হয় বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার বা অনলাইনের মাধ্যমে।খরচ প্রায় ৫০০-২,০০০ টাকা

৭) মেডিকেল পরীক্ষা
IRCC অনুমোদিত ক্লিনিকে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হয়। ঢাকায় কয়েকটি অনুমোদিত কেন্দ্র রয়েছে (যেমন IOM)। খরচ প্রায় ৮,০০০-১৫,০০০ টাকা

৮) অন্যান্য খরচ (পাসপোর্ট, অনুবাদ, কুরিয়ার)
নতুন পাসপোর্ট, ডকুমেন্ট অনুবাদ, সত্যায়ন এবং কুরিয়ার খরচও যুক্ত হয়।
  • পাসপোর্ট নবায়নঃ ৪,০০০-৭,০০০ টাকা
  • অনুবাদ ও সত্যায়নঃ ৫,০০০-১০,০০০ টাকা
  • কুরিয়ার খরচঃ ১,০০০-২,০০০ টাকা
৯) স্যাটেলমেন্ট ফান্ড (ব্যাংকে টাকা প্রমাণ)
আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ৬ মাস ধরে ব্যাংকে রাখার প্রমাণ দিতে হবে।
সদস্য সংখ্যা প্রয়োজনীয় ফান্ড (CAD) আনুমানিক টাকা (BDT)
১ জন ১৩,৭৫৭ ১৪,০০,০০০
২ জন ১৭,১২৭ ১৭,৫০,০০০
৩ জন ২১,০৫৫ ২১,৫০,০০০
৪ জন ২৫,৫৬৪ ২৬,০০,০০০

১০) এজেন্ট/কনসালটেন্সি ফি (যদি ব্যবহার করেন)
আপনি চাইলে এজেন্টের সাহায্য নিতে পারেন, তবে এটি একদমই বাধ্যতামূলক না। খরচ (ঐচ্ছিক)  ৫০,০০০-২,০০,০০০ টাকা

একজন প্রার্থীর জন্য মোট খরচ (স্যাটেলমেন্ট ফান্ড বাদে)

একজন প্রার্থীর জন্য মোট খরচ কেমন হতে পারে সেটা নিচের টেবিলে সহজ ভাবে দেখানো হলোঃ
খরচের ধরণ আনুমানিক খরচ (টাকা)
IELTS ২০,০০০-২৫,০০০
ECA ১৪,০০০-২০,০০০
IRCC ফি (PR + RPRF) ১,৫৫,০০০
বায়োমেট্রিক ৮,০০০
মেডিকেল + PCC ১৫,০০০-১৮,০০০
অন্যান্য (অনুবাদ, পাসপোর্ট) ১০,০০০-১৫,০০০
মোট খরচ (প্রাথমিক) প্রায় ২.৫ - ৩.৫ লাখ

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

  • আবেদন শুরু করার আগে সব কাগজপত্র ভালোভাবে প্রস্তুত করুন
  • Settlement fund এর টাকা আগে থেকেই ব্যাংকে রাখুন
  • IELTS ও ECA যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পন্ন করুন
  • IRCC ওয়েবসাইটে নিজেই প্রোফাইল খুলে আবেদন করাও নিরাপদ ও সাশ্রয়ী

শেষ কথাঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ - ২০২৫ সালের সম্পূর্ণ গাইডলাইনটি খুবই সহজ ও বিস্তারিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ভিসার ধরন অনুযায়ী খরচ, বায়োমেট্রিক ফি, মেডিকেল ও অন্যান্য অতিরিক্ত খরচের তথ্য স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা কানাডায় পড়াশোনা, চাকরি বা স্থায়ী বসবাসের পরিকল্পনা করে এমন সবাইকে সাহায্য করবে।

আবেদন করার আগে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ তথ্য জানাটা খুব জরুরি, কারণ নিয়ম ও ফি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে।

ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় সফল হওয়ার জন্য ধৈর্য্য ও সঠিক প্রস্তুতি অপরিহার্য। সময়মতো সব প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি করুন এবং প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কাউন্সেলটারের সাহায্য নিন। নিজের পরিকল্পনা ভালো করে সাজিয়ে সাবধানে আবেদন করলে আপনার কানাডার স্বপ্ন পূরণ হওয়া অনেক সহজ হবে। সবাইকে সফল ভিসা প্রাপ্তির শুভকামনা রইলো!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মতামত আমাদেরকে সাহায্য করবে আরো সুন্দরভাবে আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্যে ।

comment url